আপনার রান্নার স্বাদে নতুনত্ব আনতে মাংস বা যেকোনো তরকারিতে ব্যবহার করুন খুলনার দেশি চুইঝাল।
অফিস, ব্যস্ততা আর একঘেয়ে রেসিপির চক্করে প্রতিদিনের রান্না কি একঘেয়ে লাগছে? একটু ভিন্ন স্বাদের খোঁজে আছেন? তবে আপনার রান্নাঘরে জায়গা করে নিতে পারে এক দুর্দান্ত মশলা — “চুইঝাল”।
খাঁটি ঝাঁঝালো স্বাদের এই দেশি মসলা প্রতিদিনের সাধারণ রান্নাতেও এনে দিতে পারে অনন্য এক স্বাদ ও ঘ্রাণ। শুধু স্বাদই নয়, চুইঝালের ঝঁঝ ও ঝাল ফ্লেভার খাবারে যোগ করে বাড়তি স্বাদ আকর্ষণ।
এটা এমন এক মশলা যা মিশে যায় বিভিন্ন ধরনের রান্নার সঙ্গে –
চুইঝাল পানের লতার মত এক ধরনের গাছ, এর শিকড় ও কান্ড খাবারে ব্যবহার হয়ে থাকে। চুইঝাল মসলা ও ঝাল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এটি খেতে অনেকটা আদা ও গোলমরিচের মত ঝাঝালো, রান্নার পর টুকরোগুলো চুষে বা চিবিয়ে খাওয়ার সাথে সাথে এর দারুন স্বাদ উপভোগ করা যায়। খুলনা অঞ্চলের দিকে মাংস রান্নায় এই চুইঝাল ব্যবহার ব্যাপক প্রচলিত।
এক কেজি মাংসে কতটুক চুইঝাল ব্যবহার করবো?
এক কেজি মাংসে ৭০-৮০ গ্রাম চুইঝাল ব্যবহার করতে হয়। ১ কেজি চুইঝাল দিয়ে ১০-১২ কেজি মাংস রান্না করা যায়।
চুইঝাল কি?
চুইঝাল দিয়ে রান্না করা খুব সহজ, সঠিকভাবে রান্না করলে খাবারে দারুণ ঘ্রাণ ও ঝাঁঝালো স্বাদ যোগ হয়। সাধারণত গরু, খাসি বা হাঁসের মাংসের সঙ্গে চুইঝাল খুব ভালো মানায়। রান্নার জন্য চুইঝাল কাণ্ড ও শিকড় ভালোভাবে ধুয়ে পাতলা করে চেপ্টা করে কেটে নিতে হয়। তেলে পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা, শুকনা মরিচ, ধনে ও হলুদ দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষাতে হবে। এরপর মাংস দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে চুইঝাল যোগ করে মসলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন। পানি দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করুন এবং শেষে গরম মসলা দিয়ে নামিয়ে নিন। রান্নার পর চুইঝালের টুকরোগুলো চিবিয়ে খেলে এক অন্যরকম স্বাদ পাওয়া যায়।
চুইঝাল কীভাবে সংরক্ষণ করবো?
চুইঝাল হাতে পাওয়ার পরে, একটি পলিথিনে মুড়িয়ে নরমাল ফ্রিরে রেখে দিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।